নিউজ ডেক্স
গাছথেকে আমপারা কে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে শ্বাস রোধ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বড় রংপুর কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসায়।
অভিযোগে জানা যায়, ওই মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন নাহিদ হাসান নিরব নামে এক শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে তার সহপাঠীদের সাথে মাদ্রাসার একটি গাছের আম পারার সময় ওই মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি সামশুজ্জোহা সুজা এসে তার গলা চেপে ধরে।
এ সময় আশপাশের শিক্ষার্থীসহ লোকজন তাকে সেখান থেকে রক্ষা করে। পরে নিরবের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় ও বমি করতে থাকেন। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মামা।এ সময় চিকিৎসা গ্রহণ করার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
ভুক্তভোগী নাহিদ হাসান নিরব বলেন, আমি আম পারতেছিলাম, হঠাৎ করে সোজা আঙ্কেল এসে আমাকে ডেকে শূণ্যে তুলে আমরা গলা ১৫ সেকেন্ড চাপে ধরে। এ সময় আমার দম প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। পরে আমার হোস্টেলের বড় ভাইয়েরা আমাকে সেখান থেকে রক্ষা করে। পরে আমি হোস্টেলে আসলে আমার বমি হয় এবং মামার সাথে সাথে আমাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন আমি অনেকটা সুস্থ আছি। আমি মাদ্রাসার সহ-সভাপতি বিচার চাই।
নিরবের মামা আরমান আলি জানান, আমার ভাগ্নে এমন ঘটনা শোনার পর আমি সাথে সাথে সেখানে ছুটে যাই এবং তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করি। এখন আরমান অনেকটাই সুস্থ। এমন অমানবিক আচরণের বিচার চাই আমরা।
এ বিষয়ে বড় রংপুর কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানিনা, আজ সকালে আপনাকে অবগত করা হয়েছে। আমি দুজনকে ডেকে কি ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করব এবং পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার সহ-সভাপতি শামসুজ্জোহা সুজাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কোন ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নিজেই রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, আমার কাছে এই ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে, ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থার গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply