বিশেষ প্রতিনিধি:
বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর দূর্নীতিবাজ কপিরাইট পরিদর্শক মোঃ আতিকুজ্জামান ও সহকারী পরীক্ষক একেএম জাহিদ এর দূর্নীতি, অনিয়ম ও অত্যাচারে ঢাকা শেরেবাংলা নগরস্থ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। কপিরাইট অফিসের সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরির সময়ে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছামত রাত ১০টা পর্যন্ত অফিস করতো কপিরাইট পরিদর্শক মোঃ আতিকুজ্জামান। জাফর রাজা চৌধুরীকে সে ম্যানেজ করে কপিরাইট বোর্ড ও কপিরাইট সংক্রান্ত অভিযোগের নথির দায়িত্ব বাগিয়ে ও পরবর্তীতে অফিস আদেশ করে নেন আতিকুজ্জামান। দায়িত্ব পাওয়ার পর শুরু হয় দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, আতিকুজ্জামান এখন নামে, বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক। কপিরাইট অফিসের দূর্নীতিবাজ আতিকুজ্জামান ১৪তম গ্রেডের একজন কর্মচারী হয়ে তিনি সাভারের কাউন্দিয়ায় আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের বাগান বাড়িসহ সেমি-পাকা বাড়ি ক্রয় করেছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার। তার ট্যাক্স ফাইল ও সম্পদ বিবরণী দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তিনি নিজ গ্রামে নামে, বেনামে অঢেল সম্পত্তি ক্রয় করেছে। এসব সম্পদ তিনি ঘুষ দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছে বলে নিভর যোগ্য সূত্রে জানা যায়। সম্প্রতি মাইনুল ইসলাম নামক এক কপিরাইট সেবাগ্রহীতা কপিরাইট পরিদর্শক আতিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও হয়রানি করার জন্য একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগের সত্যতা থাকার পরেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কারন তার অদৃশ্য শক্তি, দূর্নীতির টাকা ও বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল হাতের নাগালে থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় নাই বলে জানা যায়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেন। কর্মকর্তাকে ফাঁসিয়ে পাল্টা মিথ্যা নিউজ করবে ভেবে পূর্বে তার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আতিকুজ্জামান কপিরাইট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ভুয়া রিপোর্টগুলো প্রকাশ করান তার কলেজ জীবনের বন্ধু ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ ক্যাডার ও সক্রীয় কর্মী কাজী শরিফের মাধ্যমে। ইতোপূর্বে প্রিয়াংকা পাল নামে একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার কে আওয়ামীলীগের আরাফাত এবং নিখিলের মাধ্যমে স্ট্যান্ড রিলিজ করান এই আতিক ফ্যাসিস্ট। আতিকুজ্জামান অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কাজী শরিফকে দিয়ে হয়রানি মূলক বিভিন্ন অখ্যাত অনলাইন পোর্টাল মিডিয়ায় নিউজ করাচ্ছে। তার ফেসবুক আইডির ছবিতে আতিক ও শরীফেরা মাস্তিতে ব্যস্ত
থেকে তা সহজেই বুঝা যায়। এছাড়াও কাজী শরীফের অনলাইন পত্রিকার নাম voicebd24.com. আর কাজী শরীফের voicebd24.com লোগো সম্বলিত টিশার্ট পরে এ অফিসের কয়েকজন কর্মচারী মোঃ পেয়ার হোসেন, এ কে এম জাহিদ, মোঃ নুরুল ইসলাম ও মোঃ তাজেদুল ইসলাম গং তাদের সহযোগিতা করেছে। এদের কে ধরে জিজ্ঞেস করলে আসল তথ্য উদঘাটিত হবে। আতিকুজ্জামানের দূর্নীতীর কারনে কপিরাইট স্টেকহোল্ডারগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কপিরাইট অফিসের কপিরাইট রেজিস্ট্রার কে সম্প্রতি বদলির আদেশ করা হয়েছে। তাই কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার যাতে কপিরাইট রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব না পায় সে জন্য আতিকুজ্জামান কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ (যুগ্মসচিব) কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক নিউজ প্রচার করছে। কারন আতিকুজ্জামান ভয়ে আছে, কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার যদি রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পায় তাহলে ওর সঠিক বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। ইতোমধ্যে কপিরাইট রেজিস্ট্রার আতিকুজ্জামানের দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়ায় আছে ও তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্ত চলমান রয়েছে। এখন তিনি ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানীমূলক নিউজ করাচ্ছেন। কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বিভিন্ন সেবা গ্রহিতাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ গ্রহণ করে থাকেন। তার মধ্যে লাইভ টেকনোলজির ইয়াসির আরাফাত, সাউন্ডটেক এর স্বত্বাধিকারী সুলতান মাহমুদ বাবুল, সংগীতার স্বত্বাধিকারী রবিন, জি-সিরিজ এর মোঃ খালেদ, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সিডি প্লাসের আবিদ রশিদ, সিডি ভিশনের মাহবুব, ঈগল মিউজিকের কচি আহমেদ, শেখ ফরিদ, বঙ্গবিডি, রোকন উদ্দিন রুকু, জাজ মাল্টিমিডিয়ার মোঃ আব্দুর রউফসহ অনেক সেবাগ্রহিতার নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এমন কি তিনি বর্তমান সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেস্টার নিকট হতেও পূর্বে উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। তিনি একজনের নথি গায়েব করছে, আর একজনের নথির কাগজ অন্যজনের নথির কাগজের সাথে মিশায়ে ইচ্ছেমত সুযোগোর সদ্ব্যবহার করছে। কপিরাইট অফিসের অপর দূর্নীতিবাজ কপিরাইট সহকারী পরীক্ষক এ কে এম জাহিদ কপিরাইট অফিসে চাকুরি নিয়েছে ভুয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা সনদের মাধ্যমে। তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই এর নির্দেশনা থাকলেও তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি নিয়োগের সময়। আওয়ামীলীগের দাপট দেখিয়ে পাশ নাম্বার না পেয়েও তিনি কিভাবে চাকুরি পেলেন, তা বোধগম্য নয়। তার নিয়োগের কাগজ- পত্র যাচাই করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
দূর্নীতিবাজ কপিরাইট সহকারী পরীক্ষক এ কে এম জাহিদ কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন শাখায় কাজ করেন। তার সুযোগ নিয়ে তিনি ঘুষ ও দুর্নীতি বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এখন কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের নথি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ও অভিযোগের নথির শুনানী গ্রহণ করে। এ কারণে তিনি ক্লায়েন্টের কাজ করিয়ে দিবেন বলে তাদের নিকট থেকে উৎকোচ নেন। দূর্নীতিবাজ জাহিদ শুনানীর পুর্বেই রায় কী হবে তা বলে দেয়। তখন ক্লায়েন্টরাও তাকে মোটা অংকের উৎকোচ দিত। তিনিও কপিরাইটের বিভিন্ন কর্মের কপিরাইট করিয়ে দেয়ার জন্য সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হয়রানি ও ঘুস বাণিজ্য করে আসছে।
সম্প্রতি একজন প্রকাশক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে তা তদন্ত করে অভিযোগ এর সত্যতার প্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু অদৃশ্য কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দুর্নিতিবাজ কপিরাইট সহকারী পরীক্ষক এ কে এম জাহিদ একজন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তার প্রমাণ তিনি বৈসম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিগত ১২ ও ১৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে তার ফেসবুক পোস্টে আন্দোলন বিরোধী পোস্ট দিয়েছিল।তার ফেবু আইডি চেক করলেই এর সত্যতা মিলবে। কিন্তু বর্তমান সে ভোল পাল্টে বিএনপির নেতা সেজেছে। তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কপিরাইট অফিসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী তার কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে। সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা নিউজ করার পাশাপাশি দূর্নীতিবাজ জাহিদ বহাল তবিয়তে দূর্নীতি চালিয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারীদের হয়রানি করেই যাবে। জাহিদের দূর্নীতির কারনে কপিরাইট স্টেকহোল্ডারগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়াও এই দূর্নীতিবাজ কপিরাইট সহকারী পরীক্ষক এ কে এম জাহিদ দূর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। জানা যায়, তার গ্রামের বাড়িতে বিশাল গোডাউন করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল গোডাউনে রেখে ব্যবসা করছেন। ঢাকাতে নামে বেনামে একাধিক ফ্লাট ক্রয় করেছে। কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বিভিন্ন সেবা গ্রহিতাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ গ্রহণ করে। তার মধ্যে প্রাণ গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, যুমনা গ্রুপ, কাজি গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপসহ অনেক কোম্পানির নিকট থেকে বিপুল পরিমান নগদ অর্থ গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি দাখিলকৃত অনেক ফাইল গায়েব করে দেন টাকার বিনিময়ে। এর অনেক নজির কপিরাইট অফিসে আছে। তার দূর্নীতির প্রমান স্বরুপ সম্প্রতি কয়েকটি সাহিত্য কর্মের দূর্নীতি করে টাকা খেয়ে পরীক্ষা না করেই অনুমোদন করার প্রস্তাবের কারণে তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে, যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
তিনি স্টেক হোল্ডারদেরকেও নানা ভাবে হয়রানি করেন। একজনের দলিল জাল করে আর এক জনের সনদ দিয়ে দিচ্ছে। একজনের ফাইল গায়েব করে দিচ্ছে। পুর্বে আতিক ও জাহিদ কপিরাইট অফিসের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া নিউজ করে তাদের ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করেছে, যার তদন্তে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply