পাবনা প্রতিনিধি:
গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরের সময়, পাবনার বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম মোর্শেদ রানা তার বাসা থেকে ভয়াবহ এক চুরির শিকার হন। সাংবাদিক সেলিম মোর্শেদ রানা, যিনি আনন্দ টিভি ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি, তার ছেলে সাফায়েত ইসলাম তামিলের বাইসাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সেলিম জানান, “আমি ওই সময় অফিসে ছিলাম এবং আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানতে পারি যে, আমাদের ছেলের বাইসাইকেলটি চুরি হয়েছে।” সাফায়েত ইসলামের বয়স মাত্র ১৪ বছর এবং সে পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। প্রতিদিনের মতো স্কুল ছুটির পর, সাফায়েত বাসায় এসে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে, প্রায় দুইটার দিকে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু বিড়ম্বনার একপর্যায়ে, সিঁড়ির নিচে গিয়ে তিনি দেখতে পান, তার বাইসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে।
সেলিম, যিনি একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যমে সাংবাদিকের দায়িত্ব পালন করছেন, ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। যেখানে দেখা যায়, দুপুর ১২টা নাগাদ একটি অপরিচিত ছেলে বাড়ির বাহিরের গেট দিয়ে ঢুকে এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাইসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনায় সেলিম মোর্শেদ রানা পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন। পুলিশের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এ ধরনের অপরাধ আমাদের সমাজে অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আমাদের নিরাপত্তার প্রশ্নে একটি বড় সংকট সৃষ্টি করেছে।”
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম, এই ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত এবং সেলিমের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের তদন্ত দল ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এদিকে, পাবনা পুলিশ সুপার মোঃ মোরতোজা আলি খান বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই বাইসাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হব।” তিনি এলাকার সকল নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যে কেউ এই চুরির সম্পর্কে তথ্য জানেন তাদের যেন পুলিশকে অবহিত করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাবনা জেলার জনগণের মাঝে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, “এমন একটা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আমরা কি ভালোভাবে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি?” স্থানীয় নাগরিকরা নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, বিশেষ করে যখন তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠায়।
সেলিম মোর্শেদ রানা, একজন স্বাগতিক ও সজাগ সাংবাদিক হিসেবে, এই চুরির ঘটনার পর সমাজের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, সরকার ও পুলিশ প্রশাসন দ্রুত আইন প্রয়োগ করবে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।
আমাদের সমাজে অপরাধের এই উপজাতি খুবই উদ্বেগজনক এবং এ ধরনের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া জরুরি। আমাদের সবার উচিত একসঙ্গে মিলে অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা। এ ঘটনাটি আমাদের সকলের কাছে একটি শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছে।
Leave a Reply