1. admin@timesofpabna.com : admin :
  2. ceo@kalersangram.com : kalersangram W : kalersangram W
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শিরোনাম:

রৌমারীতে কন্যাসন্তান হওয়ায় ‘মিষ্টির’ কার্টনে মাটি-ইটের গুঁড়া দিলেন জামাই

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির বদলে উপহার হিসেবে কার্টনে মাটি ও ইটের গুঁড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেরসৃষ্টি হয়েছেন

জানা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতোলা গ্রামের সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। এক বছর সংসার করার পর তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।

কন্যাসন্তান জন্মের খবর পেয়ে গত ১১ জুন (বুধবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন মোকছেদুল ইসলাম। সঙ্গে আনেন একটি মিষ্টির কার্টন। কিন্তু কার্টন খুলে দেখা যায়, সেখানে মিষ্টির বদলে রয়েছে মাটি ও ইটের গুঁড়া!

ঘটনায় স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়।

ভুক্তভোগী স্ত্রী আছমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই আমাকে নানা অজুহাতে মারধর করতেন স্বামী। গর্ভবতী হওয়ার পর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। তিনি বারবার বলতেন-ছেলে হলে খুশি, মেয়ে হলে দুঃখ। আমার কন্যাসন্তান হওয়ার পর মিষ্টির বদলে মাটির গুঁড়া দিয়ে তিনি অপমান করেছেন আমাকে ও আমার পরিবারকে।”

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোকছেদুল ইসলাম বলেন, “আমি আনন্দেই এক কেজি মিষ্টি আর মেয়ের জন্ য পোশাক নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। মাটির গুঁড়া থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।”

তবে আছমার পরিবারের দাবি, ঘটনাটি মিথ্যা নয়। এলাকাবাসীও বিষয়টি নিজের চোখে দেখেছেন বলে জানান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ বলেন, “আমি এখনো ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।”

ঘটনার তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Theme Designed By FriliX Group