কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কলেজের ৩জন শিক্ষকেরা কাম্য যোগ্যতা না থাকলেও নিয়োগ বানিজ্য। অবৈধ নিয়োগে শিক্ষকের এমপিওভুক্ত। পদন্নোতিতে সহায়তা। ততকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি এমন কর্মকাণ্ডের ফলে হাই কোর্ট রিট ও সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশনা। সভাপতির এই কর্মকাণ্ডের ফলে পদন্নোতি বঞ্চিত হয়েছেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এ ঘটনায় সভাপতির অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযোগ ও তদন্তের নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের ৩ জন যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক (পৌরনীতি), আব্দুর রশীদ সহকারী অধ্যাপক (ইতিহাস), উভয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (পাশ), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রিতে তৃতীয় বিভাগ ও প্রভাষক আনছার আলী (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) আবেদনের সাথে এম কম সনদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞান সনদ ছিল না এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান সনদটি সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে ইস্যু করা হয় নি। নীতি মালায় প্রভাষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (পাশ), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীতে তৃতীয় বিভাগ থাকলে সহকারী অধ্যাপক পদের যোগ্যতা নাই এবং এ পদে পদন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবে না। শফিকুল ইসলাম ও আব্দুর রশীদ উভয়ের স্নাতক তৃতীয় শ্রেণী। তারা উভয়ের কমিটির সভাপতির সেচ্ছাচারিতায় ২০১৩ সালে সহকারী অধ্যাপক প্রাপ্ত হন। আনছার আলী প্রভাষক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) পদে সভাপতির সহযোগিতায় নিয়োগ পান এবং ২০০৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়েছে। ২০০১ সালে নিয়োগে আবেদন করলেও ২০০২ সালে তার এম কম সনদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কম্পিউটার বিজ্ঞান সনদ ২০০২ সালে ইস্যু হয়েছে। আবেদনের সাথে এম কম সনদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞান সনদ ছিল না। আইনত তার আবেদন বিধি সম্মম্মত নয়। অন্যদিকে কম্পিউটার বিজ্ঞান সনদটি সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে ইস্যু করা হয় নি।
বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে রিট করেছিল অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম। রিট নম্বর ৩৪৩০/২০০৪। হাই কোর্ট ২০ মার্চ ২০২৪ বিষয়টি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য আদেশ দিয়েছিল। কোর্টের আদেশ ক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা ভবন ঢাকা। ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ পত্রের মাধ্যমে পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কাম্য যোগ্যতা না থাকায় উচ্চ আদালতে মামলার অভিযোগ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে।
রংপুর অফিস ১৭ মার্চ ২০২৫ প্রফেসর আমির আলী পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চল, রংপুর স্বাক্ষরিত নোটিশ পত্রের মাধ্যমে আনোয়ার পারভেজ সহকারী পরিচালক কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চল রংপুর ১৯ মার্চ বুধবার রৌমারী যাদুরচর ডিগ্রী কলেজ সরেজমিন পরিদর্শন করবেন বলে অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকে যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। তদন্ত সহযোগী হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা আরিফুল ইসলাম সহকারী পরিদর্শক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চল রংপুর। তদন্তের বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র বিধী মোতাবেক আমরা সঠিক রয়েছি। অভিযোগ কারীর অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের জন্য জানিয়েছে।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে কাম্য যোগ্যতা না থাকায় তদন্ত পরিদর্শক সহকারী পরিচালক কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চল রংপুরকে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে পাওয়া যায় নি।