খালেদ আহমেদঃ
একজন ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে গড়ে উঠতে হলে শুধু পড়ালেখায় ভালো এমন না। খেলাধুলায়, আচার-আচরণ সব কিছু আমাদের পরবর্তী জীবনে মূল্যায়ন হয়। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে দক্ষতা ও জ্ঞানে যেন আমরা সমৃদ্ধ হতে পারি।
আমাদের এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ,
রেগুলার স্টাডিজ এক্টিভিটিজ, উত্তম ব্যবহার দ্বারা সবার কাছে পরিচিত হওয়া যায়।
এ বিদ্যালয় যারা এসেছো তারা হয়তো নিজেদের ক্লাসের বা পাশের ক্লাসের কিছু মেয়েকে চেনো কিন্তু আচার-আচরণ কথাবার্তা, ব্যবহার দিয়ে প্রত্যেকের মন জয় করা যায়।
আমরা যদি মারা যাই সে জীবন কিন্তু আর ফেরত আসবে না। সুতরাং এই জীবনটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
যদি কেউ একবার পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। সে কিন্তু আর লেখাপড়ায় ফেরত আসতে পারে না।
তাই আমাদের জীবনকে গড়ার জন্য শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো না। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজগুলোতে আমরা অন্তর্ভুক্ত থাকবো। মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অবদানের ক্ষেত্রে সবসময় সক্রিয় থাকবো। আমরা একটি পরিবারের আদর্শ সন্তান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবে এমন ভাবে গড়ে উঠবো যেন সবাই দেখলেই বুঝতে পারে যে ও আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থী।
যাতে সবাই দেখলেই বুঝতে পারে যে সে একটি ভালো প্রতিষ্ঠান থেক এসেছে। অথবা তাকে দিয়ে প্রমাণ হবে যে ওই ভালো প্রতিষ্ঠানের সে স্টুডেন্ট।
আর সে যদি বিশৃঙ্খল হয়, আচার-আচরণ খারাপ করে, নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে এটা ওই প্রতিষ্ঠান, গ্রাম, মহল্লা, উপজেলা ও জেলার ক্ষতির বা দুর্নামের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে আমরা যেন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারি। সবদিক দিয়ে যেন নিজেকে তুলে ধরতে পারি।
এজন্য প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমারা আচার-আচরণ দিয়ে যেন উত্তম নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারি। এই অনুষ্ঠানে আমরা সুশৃংখল ভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব। যারা প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে তাদের প্রতিও আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ থাকতে হবে।
গতকাল সোমবার ২৭ জানুয়ারি সকাল ১০ টায়, আদর্শ গার্লস হাই স্কুল পাবনার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৌন্দর্য বর্ধন করে তৈরিকৃত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ প্রাঙ্গনে ক্রীড়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধকের
বক্তব্যে এসব কথা বলে সপ্তাহব্যাপী এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ঘোষণা করেন পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহারুল ইসলাম।
আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমান। তাদের ব্যাচ পরিধান করান বিদ্যালয়ের স্কাউট দল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান।
এর আগে সঙ্গীত পরিচালক সমীর মজুমদারের পরিচালনা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দারিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদ ও অতিথি বৃন্দ।
এরপর ফিতা কেটে, বেলুন উড়িয়ে ও পায়রা অবমুক্তকরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
স্কাউট নেতা সুমাইয়া তাসনিম বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের সপথ বাক্য পাঠ করান। মশাল দৌর দেন ষষ্ঠ শ্রেণীর চামেলি শাখার আনিকা আক্তার মিম।
হারজিত চিরোদিন থাকবেই, আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরি এরকম উৎসাহ মূলক গান বাজিয়ে বিদ্যালয়ের একঝাঁক শিক্ষার্থী সুন্দর নৃত্যে ডিসপ্লে প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শুরু করে খেলাধুলা।
এরপর এক এক করে আত্মরক্ষার জন্য কেরাত প্রদর্শনসহ নাবিধ খেলা চলে দিনভর।
সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য এস মুস্তাকিম সবুজ, সাবেক প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ খান, হাজী জসীম উদদীন কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিদ্যালয়ের সাবেক অভিভাবক সদস্য শাহ জামাল বাদশাহ্, সাবেক সদস্য ও ১১নং পৌর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হাকিম, সাবেক সদস্য জালাল আহম্মেদ প্রমুখ।
সিনিয়র শিক্ষক কে, এম শুকুর আলীর সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা কোহিনুর, আফরোজা খাতুন, কে, এম. আবুল হোসেন, সহঃ শিক্ষক কম্পিঃ হুমায়ুন কবির, সহঃ শিক্ষক শঃ চর্চা মিজানুর রহমান, সহঃ শিক্ষক (ইসঃ শিঃ) আব্দুল হামিদ খান, সহঃ শিক্ষক মেরিনা আক্তার, সহঃ শিক্ষক (কৃষি) দেলোয়ার হোসেন, সহঃ শিক্ষক শামীমা আক্তার, সাইমা ইয়াসমিন, নারগিছ আরা পারভীন, আল আমিন হক, আপতাব উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, পিংকি বিশ্বাস, গাজিউর রহমান, খন্ডকালীন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, শরিফ আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন, মোঃ শরিয়তুল্লাহ, উপমা সাহা, নাজমুন নাহার, খন্ডকালীন গ্রন্থগারিক অলিভিয়া খাতুন, খন্ডকালীণ কর্মচারী তাহমিনা আক্তার, অফিস সহকারী ওয়াজউদ্দীন খোন্দকার, অফিস পিয়ন, মোঃ বিপ্লব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন অষ্টম শ্রেণীর চামেলি শাখার শিক্ষার্থী ইয়াসমিন ইসমা জুঁই।
গীতা পাঠ করেন দশম বিজ্ঞান বিভাগের মোহনা রায়।
Leave a Reply