1. admin@timesofpabna.com : admin :
  2. ceo@kalersangram.com : kalersangram W : kalersangram W
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রাজিবপুর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হলেন মিজানুর রহমান লিমন হারিয়েছি শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদতবার্ষিকী: ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে শিবিরের অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ দীর্ঘ ৫ মাস ১৬ দিন পর চরশ্যামপুরের বালুমহাল বুঝে পেল ইজারাদার ছাত্রীর সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে  রৌমারীতে আফরোজা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত পাবনায় সাংবাদিক মঞ্জুর রহমানকে হত্যার হুমকি: গভীর উদ্বেগের জন্ম দিলেন প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজ বহিষ্কৃত এসআই মাহবুব হাসানের ২ দিনের রিমান্ড
শিরোনাম:
বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রাজিবপুর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হলেন মিজানুর রহমান লিমন হারিয়েছি শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদতবার্ষিকী: ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে শিবিরের অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ দীর্ঘ ৫ মাস ১৬ দিন পর চরশ্যামপুরের বালুমহাল বুঝে পেল ইজারাদার ছাত্রীর সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে  রৌমারীতে আফরোজা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত পাবনায় সাংবাদিক মঞ্জুর রহমানকে হত্যার হুমকি: গভীর উদ্বেগের জন্ম দিলেন প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজ বহিষ্কৃত এসআই মাহবুব হাসানের ২ দিনের রিমান্ড

মাকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখেন ছেলে, সাজান ডাকাতির নাটক

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

টাইমস ডেস্কঃ বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দিনে-দুপুরে গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুনকে (৫০) তার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রেখেছিলেন। আটকের পর র‌্যাব কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১২ এর বগুড়া ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, হাত খরচের টাকা নিয়ে সাদ বিন আজিজুর রহমানের সঙ্গে তার মা উম্মে সালমা খাতুনের ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ি থেকে ৫০০-১০০০ টাকা হারিয়ে যেত। ঘটনার দিন হাত খরচের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় সাদ তার মাকে হত্যা করে ডাকাতি বলে প্রচারের চেষ্টা করেন।

নিহত উম্মে সালমা খাতুন দুপচাঁচিয়া ডিএস (দারুস সুন্নাহ) কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। আজিজুর রহমান স্থানীয় উপজেলা মসজিদের খতিব এবং আজিজিয়া হজ্ব কাফেলা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার।

জানা গেছে, আজিজুর ও উম্মে সালমা খাতুন দম্পতির দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। বড় দুই ছেলে-মেয়ে ঢাকায় থাকেন। আর ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান বাবার মাদরাসায় আলিম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ছোট ছেলেকে নিয়ে আজিজুর-উম্মে সালমা দম্পতি দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়া এলাকায় নিজেদের চারতলা বিশিষ্ট ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’-এর তৃতীয় তলায় বসবাস করতেন। গত ১০ নভেম্বর আজিজিয়া মঞ্জিলে খুন হন গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুন। হত্যার পর তার মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখা হয়। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান বাড়িতে গিয়ে তার মাকে না পাওয়ার কথা তার বাবাসহ স্বজনদের জানান। এরপর খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তিনি ডিপ ফ্রিজের ভেতরে তার মায়ের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেন। ঘরে রাখা স্টিলের আলমারিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার চিহ্ন এবং তার নিচে কুড়াল পড়ে থাকার চিত্র দেখে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটিকে ডাকাত দলের কাজ বলে সন্দেহ করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা কিংবা স্বর্ণালংকার খোয়া না যাওয়ায় এমনকি নিহতের কানে থাকা স্বর্ণের দুল অক্ষত থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয়। ওইদিন রাতে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় র‌্যাবের বগুড়া ক্যাম্পে এক ব্রিফিংয়ে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান জানান, হত্যাকারী সন্দেহে নিহত উম্মে সালমা খাতুনের ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সাদ তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন হাত খরচের টাকা চেয়ে না পেয়ে মায়ের সঙ্গে সাদ বিন আজিজুর রহমানের বাকবিতণ্ডা হয় এবং তিনি নাস্তা না খেয়েই মাদরাসায় চলে যান। বেলা ১১টার দিকে ক্লাসের বিরতি হলে সাদ মাদরাসা থেকে বের হন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাড়িতে ঢুকে তার মাকে কুমড়া কাটতে দেখেন। তখন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সাদ পেছন থেকে তার মায়ের নাক ও মুখ চেপে ধরেন। এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কুমড়া কাটার বঁটিতে সাদের তর্জনীর আঙুল কেটে যায়। কিন্তু তারপরও সে দুই হাত দিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে তার মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ওড়না দিয়ে মায়ের দুই হাত বেঁধে মরদেহ ডিপ ফ্রিজের মধ্যে রাখেন। পরে ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রমাণের জন্য তিনি কুড়াল দিয়ে আলমারিতে কোপ দিয়ে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বাইরে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি তালা খুলে ভেতরে ঢুকে তার মাকে খুঁজে না পাওয়ার কথা ফোনে বাবাসহ স্বজনদের জানান।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, অভিযুক্ত আসামি সাদ বিন আজিজুর রহমানকে দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, উম্মে সালমা খাতুন হত্যায় এখনো মামলা হয়নি। তবে নিহতের বড় ছেলে এজাহার দায়ের করবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Theme Designed By FriliX Group